Not known Facts About ফেরা গল্পের মূলভাব

সাত বছর আগে মারা-যাওয়া জুলেখার ডি. এন. এ. পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে। কবরের ভিতর থেকে কঙ্কালের হাড় নিয়ে ডি. এন. এ. পরীক্ষা করা হবে।

আম্বিয়া বেগমের ডাক-চিৎকারে বাড়ির সবাই জেগে উঠল। জেগে উঠল আশপাশের প্রতিবেশীরাও। লোক জমতে শুরু করল।

আপনার নাম যে মাইনাচ এটা আমরা সবাই জানি। হিহি ১৩

গ্রন্থের সব শেষ গল্প ‘ফেরা’। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া আলেফ বাংলাদেশকে get more info খানসেনাদের হাত থেকে মুক্ত করার  জন্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। খানসেনাদের আত্মসমর্পণের পরপরই একসময় একটা গুলি তার পায়ে এসে লাগে। চিকিৎসার জন্য সে হাসপাতালে এসেছিল। সেখানে বেনেপুরের আমিন, একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং সে উঠেছিল। মুক্তিযোদ্ধা আমিন তার পা কাটার তিনদিন পর মারা যায়। তার পা পচে গিয়েছিল। আলেফ তার গ্রামে ফিরে যায়। রাইফেলটি তার সঙ্গেই ছিল।

আলেফের রাইফেলটা এই কয়দিন ঘরের দেয়ালের এককোণে ঠেস দেওয়া ছিল। বেনেপুকুর থেকে ফিরে এসে আলেফ রাইফেলটাকে হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তার মাকে ও স্ত্রীকে দেখাল। কীভাবে রাইফেল নিয়ে যুদ্ধ করতে হয় তাও দেখাল। তারপর রাইফেলটা হাতে নিয়ে বাড়ির পেছনে ডোবার ধারে গিয়ে দাঁড়াল। একসময় সে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে রাইফেলটাকে ডোবার মাঝখানে ছুড়ে ফেলে দিলো। বাড়ির দিকে ফিরে আসতে আসতে সে ভাবে, ‘ডোবাটা ছোটো – রাইফেলটা খুঁজে পেতে তেমন কষ্ট হবে না।’ 

দাঁড়ায় দাঁড়ায় কাম নাই, যান এখান থেকে। বলেই মহিলা সামনের দিকে হাঁটতে লাগলো।

এত গাছপালা জঙ্গল, ভবার কি তোমার কোনো অভাব আছে। তা ঠিক— এই এক আশ্চর্য পৃথিবী, যে বাঁচে, যে থাকে সেই জানে কী মজা আছে

কেন আমরা মনে করি শ্লেষাত্নক ও ঘৃণা প্রকাশ করে এমন কথাই এখনো উপায় হিসেবে শ্রেষ্ঠ!

মানুষের সঙ্গে কথা বললেও সে জোর পায়। রাস্তার। দাঁড়িয়ে অচেনা লোকের সঙ্গে কথাও বলতে

কবরস্থান ঘিরে শত-শত লোক ভিড় জমিয়েছে। দু’জন কোদালী মিলে কবরটা খুঁড়ে চলেছে। পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন ওসি সাহেব এবং সাংবাদিকরা।

জাগতিক নিয়মে, সব পাখি নীড়ে ফেরে। ফুল ফোটে, বৃষ্টি নামে এবং নদী তার আপন পথে বাঁক নেয়। কিন্তু, ফেরে না কেবল মানুষ। অহংকার আর অহমিকার দহনে তার বুকের ভেতরে জিইয়ে রাখে পাহাড়সম আগুন। সেই আগুনে ঝলসে যায় সে নিজে এবং ঝলসে দিতে চায় তার চারপাশ। মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ আর বেপরোয়া। সে তার অস্তিত্বের কার্যকারণ ডিঙিয়ে নিজেকে আমিত্বের আসনে দেখতে চায়। নিজের ক্ষুদ্রাকৃতির প্রতি চূড়ান্ত ভাবলেশহীন হয়ে সে নিজেকে অনন্ত-অসীমে কল্পনা করে বসে। ফলে সে বিচ্যুত হয়। পদস্খলন ঘটে তার। যুগে যুগে যাদের ধ্বংসের পদধ্বনি আমরা শুনতে পাই, তাদের সকলের যেন একই গল্প, একই চিত্রনাট্য—ঔদ্ধত্য, অহংকার আর অনাচার। এক মহাসত্যকে পাশ কাটিয়ে, নিজেকে নিয়ন্ত্রকের আসনে যখনই সে আসীন করতে গেছে, তখনই ধ্বংস অনিবার্য হয়ে নিপতিত হয়েছে তার ওপর।

সজিব হাসতে হাসতে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় আকাশের দিকে। আকাশ সজিবের প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে সজিবের ডান হাত টেনে তুলে তাতে ২০ টাকা দিয়ে কেনা গাঁজার পুরিয়া দিয়ে সামনের প্রশস্ত রাস্তায় হাঁটতে শুরু করে। সজিব জোরে একটা ডাক দেয়, আরে আকাশ কৈ যাস?

গোরুর গাড়ি। মানুষজন নামে ওঠে। রাস্তার পাশে কোথাও টালির কারখানা। আবার দূরে গেলে মাছের

২য় পর্ব লেখার ইচ্ছে আছে তবে জানি না কবে লিখবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *